Friday, March 30, 2018

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সুন্দর লেখা




মহাগ্রন্থ আল কোরআনের প্রথম শব্দ ইকরা। যার অর্থ পড়। যদি প্রশ্ন করা হয়- কী পড়তে হবে? স্বাভাবিকভাবেই উত্তর হবে- যা লিখিত, তা-ই পড়তে হবে। তারমানে পড়া যায় তা-ই, যার লিখিত রূপ আছে। মহান আল্লাহর আদেশ পড়। সেই পড়াটা তো অসুন্দর করে পড়লে হবে না। পড়তে হবে সুন্দর করে, শুদ্ধ করে, চমৎকার ভাবে। পড়া যদি সুন্দর ও চমৎকার ভাবে করতে হয়, তাহলে পঠিত জিনিসের প্রথম ধাপ লিখিত রূপটাও সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রচ্ছন্নভাবে সুন্দর হাতের লেখার বিষয়টি তাই ধর্মীয় দিক দিয়ে পালনীয় বিষয় বলেও বিবেচিত।

ইসলামের আবির্ভাবের পর আরবি লিপিতে দ্রুত উন্নয়ন শরু হয়। রাসূল স. এর সময়ে যে লিপি ছিল, সে লিপিকে পবিত্র কোরআনের লিপি হিসেবে সঠিকভাবে ব্যবহারের নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন। আজ আমরা যে কোরআন পড়ছি, এ রকম চমৎকার নজরকাড়া, সহজ পাঠযোগ্য লিপির সে আকৃতি রাসূলের স. সময় ছিল না। তখন জবর, জের, পেশ, নুকতা ছিল না, তবে হরফ একই ছিল, শুধু গঠন ছিল ভিন্ন রকমের। রাসূল স. বলেছেন, উত্তম নজরকাড়া হাতের লেখা সত্যের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় (মুসনাদে ফেরদৌস, দায়লামী শরীফ)।

হযরত আলী রা. এর একটি বাণী হচ্ছে, “তোমরা হাতের লেখাকে সুন্দর, মনোমুগ্ধকর কর। কেননা সেটা তোমাদের রিজিকের উপায় হবে।” (ইসলামী ক্যালিগ্রাফি, আবদুর রহীম, ২০০৭)।

অতএব সুন্দর লিখাও একটি ইবাদত। কেউ যদি এ দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী কোন লেখা লিখে তাহলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। আমরা যদি আরবি লেখার দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাব আরবি ভাষার লিখিত রূপই সবচেয়ে সুন্দর, আরবি লেখার ফন্ট-ই সুন্দরতম ভাবে এর লেখকরা লেখা শুরু করেছেন। ইসলামী সংস্কৃতিতে তাই আরবি ইসলামিক ক্যালিগ্রাফির চমৎকার সব নান্দনিক উপস্থাপনা পরিলক্ষিত হয়। ইদানিং বাংলা ও ইংরেজিতেও ক্যালিগ্রাফির চমৎকার কাজ হচ্ছে।



No comments:

Post a Comment

হাতের লেখা সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার দারুণ কিছু কৌশল

আতাহার আলী সিনিয়র শিক্ষক, ধর্ম  ও নৈতিক শিক্ষা  রায়হান স্কুল এন্ড কলেজ আজিমপুর, ঢাকা প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়ে এসে আমরা কম্প...